Posts

দিনলিপি লিখন

 একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার দিনলিপি লেখ।  ৮ মার্চ, ২০১৮  ভোর ৬টায় ঘুম থেকে উঠলাম। সকাল ৭টা ৩০-এর মধ্যেই কম্পিউটারের মেইল চেক করে আপডেট করলাম । ব্যবসায় উদ্যোগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ২টি আর্টিকেল পড়লাম। মুনাফা বৃদ্ধি ও ব্যয় হ্রাস বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিলাম। আমার প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং উৎপাদনের বিভিন্ন বিভাগ-উপবিভাগের মধ্যে সমন্বয় সাধনের কয়েকটি সূত্র লিখলাম। পরিমিত ঝুঁকি নিয়ে কীভাবে সমাজ ও জাতিকে নতুন পণ্য উপহার দেওয়া যায়, এ বিষয়ে পরামর্শের জন্য কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা করলাম। আমার প্রতিষ্ঠানের জনবল বাড়ানো উচিত কিনা— এ বিষয়ে সমমানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে পরামর্শ করলাম। আমার প্রতিষ্ঠানের নতুন শাখার জন্য স্থান নির্ধারণ, বাজার ও চাহিদা নির্ধারণ করলাম। সঠিক তথ্য সংগ্রহ এবং সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে ভোক্তার চাহিদা সম্পর্কে গবেষণার একটি ছক করলাম । পণ্যের উৎপাদন ও মাননিয়ন্ত্রণ ক্ষেত্রে যথার্থ নীতি অনুসরণ বিষয়ে কোনো সমস্যা, জটিলতা আছে কিনা তা যাচাই করলাম ।  সায়মা আহমেদ  সায়মা বুটিক অ্যান্ড ফেব্রিক্স্ গাজীপুর, বাংলা

দিনলিপি

 একজন শিক্ষাবিদের দিনলিপি লেখ । মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬টায় ঘুম থেকে উঠলাম। পত্রিকা পড়া এবং চা খাওয়া শেষ করে যথারীতি ৭টায় পড়তে বসলাম। ‘বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার দুশো বছর' বই থেকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘শিক্ষার লক্ষ্য’, বঙ্কিমচন্দ্রের ‘লোক শিক্ষা’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ’, প্রমথ চৌধুরীর ‘আমাদের শিক্ষা ও বর্তমান জীবন সমস্যা’ চারটি প্রবন্ধ পড়লাম। আমার এ পড়া নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেন, কেন পড়ি? মনে মনে বলি, না পড়ে লিখব কী করে? বই পড়ে যেমন নিজেকে জানতে পারি, তেমনি জানতে পারি অন্যকে, জানতে পারি চারপাশের পরিবেশ আর প্রকৃতিকে। এ জানা চাক্ষুষ জানা নয়— মন দিয়ে, হৃদয় দিয়ে জানা। আত্মার পরিব্রজনে বই আমার একই সঙ্গে পথ ও পাথেয়। আজও সকাল ১০টায় কলেজে গেলাম। পর পর তিনটি ক্লাস নিয়ে বাসায় ফিরলাম । দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। ‘কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্ব' বিষয়ক প্রবন্ধ লেখার জন্য কিছু বিষয় নোট করলাম। আমার মনে হলো কাজের প্রতি আমাদের দৃষ্টি কোনোকালেই খুব স্বচ্ছ ছিল না; ফলে কর্মমুখী শিক্ষার প্রতিও আমাদের দৃষ্টি খুব স্বচ্ছ নয়। দেশে কৃষি ছাড়া যদি শিল্পেরও বড় ধ

দিনলিপি লিখন

বিশিষ্ট ব্যক্তির দিনলিপি ১৭ মে, সোমবার ১৯৭১ রেডিও-টিভিতে বিখ্যাত ও পদস্থ ব্যক্তিদের ধরে নিয়ে প্রোগ্রাম করিয়েও ‘কর্তাদের তেমন সুবিধা হচ্ছে না বোধ হয়! তাই এখন বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীদের ধরে ধরে তাদের দিয়ে খবরের কাগজে বিবৃতি দেওয়ানোর কূটকৌশল শুরু হয়েছে। আজকের কাগজে ৫৫ জন বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীর নাম দিয়ে এক বিবৃতি বেরিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো টিচার, রেডিও-টিভির কোনো কর্মকর্তা ও শিল্পীর নাম বাদ গেছে বলে মনে হচ্ছে না। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ সানন্দে এবং সাগ্রহে সই দিলেও বেশিরভাগ বুদ্ধিজীবী ও শিল্পী যে বেয়নেটের মুখে সই দিতে বাধ্য হয়েছেন, তাতে আমার কোনো সন্দেহ নেই। আর যে বিবৃতি তাদের নামে বেরিয়েছে, সেটা যে তাঁরা অনেকে না দেখেই সই করতে বাধ্য হয়েছেন, তাতেও আমার সন্দেহ নেই। আজ সকালের কাগজে বিবৃতিটি প্রথমবারের মতো পড়ে তাঁরা নিশ্চয় স্তম্ভিত হয়ে বসে রইবেন খানিকক্ষণ! এবং বলবেন, ধরণী দ্বিধা হও! এরকম নির্লজ্জ মিথ্যাভাষণে ভরা বিবৃতি স্বয়ং গোয়েবলসও লিখতে পারতেন কিনা সন্দেহ। এই পূর্ব বাংলার কোন প্রতিভাধর বিবৃতিটি তৈরি করেছেন, জানতে বড় ইচ্ছে হচ্ছে। ২০ নভেম্বর, শনিবার ১৯৭১ আজ ঈদ। ঈদের কোন